ফাইবার
মার্কেটপ্লেস পরিচিতি
মিকা কাফম্যান ও শাই উইনারারের হাত ধরে ২০১০ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম প্রতিষ্টিত হয় ফাইবার।ফাইবার মুলত একটি ইসরাইলি সংস্থা ফাইবার হলো একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস, এটি একটি অনলাইন সেবা প্রতিষ্টান যার মাধ্যমে ডিজিটাল পরিষেবা বায়ার এবং সেলারের মধ্যমুনি হিসেবে কাজ করে। এই
সাইট/মার্কেটপ্লেসটি মূলত লেখা, ভিডিও
সম্পাদনা, গ্রাফিক ডিজাইন এবং প্রোগামিং ক্ষেত্র
বিশেষ নিয়ে পরিচালিত হয়েছিল
এখন ২০২৫ সালে অনেক
অনেক রকম সেবা নিয়ে
কাজ করে, আমি নিজেও
একজনা ভিডিও সম্পাদক ফ্রিল্যান্সার আমার ফাইবার প্রোফাইল
: RHM SHEZAN.
আপনি নিচে যে বিষয়গুলো নিয়ে পড়তে ও বুঝতে পারবেন
- ফাইভার কি
- ফাইবার মার্কেটপ্লেস পরিচিতি
- ফাইবার এর কাজ কি
- ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম
- ফাইবারে কোন কাজের চাহিদা বেশি
- Fiverr এ কি কি কাজ পাওয়া যায়
- ফাইভারে কাজ পাওয়ার উপায়
- মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ
- Fiverr সর্বোচ্চ বেতন দক্ষতা কি?
- ফাইবারে ১০০$ ইনকাম
ফাইবার এর কাজ কি
ফাইবার
হলো এমন একটি প্লাটফর্ম
যেখানে আপনি দক্ষ হলে
অতি সহজেই হয়ে উঠতে পারেন
একজন ভালো মাপের ফ্রিলান্সার।
ফাইবারে কাজ করে নিজেকে
সাবলম্বি করা অনেক সহজ
যদি আপনি দক্ষ হতে
পারেন একটি নির্দিষ্ট কোন
বিষয়ের উপর।
২০২৪
সালের তথ্য অনুযায়ী ২০২৩
সালের তুলনায় ৩ মিলিয়ন বেশী,
২০২৩ সালে ৪.৩
মিলিয়ন অ্যাক্টিভ বায়ার ও ৩৮০০০০ জন
ফ্রিল্যান্সার কাজ করে ফাইবারে।
এখানকার সব চাইতে ভালো
বিষয় হচ্ছে নতুন বা পুরাতন
কোন সেলারকে বসে থাকতে হয়
না। ফাইবারে স্পানিশ, জার্মান, পর্তুগিজ, ফ্রেন্স সকল ধরনের ভাষা
ওয়েবসাইটে ব্যাবহার করা হয় ইংরেজি
বাদে।
ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম
ফাইবার অ্যকাউন্ট খোলার জন্য মূলত প্রথমে আপনাকে গুগল বা বিং বা অন্য যে কোন ব্রাউজারে গিয়ে ফাইবার লিখে সার্চ দিতে হবে, প্রথম যে ওয়েবসাইটটি আসবে তার উপর ক্লিক করলে আপনাকে নতুন একটি ইন্টারফেজে নিয়ে চলে আসবে তখন আপনি আপনার ইউজার নেম, পাসওয়ার্ড ও জিমেইল দিয়ে অ্যাকাউন্টটি খুলে নিবেন, তারপর দেখতে পাবেন লিখা উঠবে আপনি স্লো না বিজনেস কিভাবে কাজ করবেন, দ্বিতীয়ত আপনার থেকে চাইবে আপনি অনলাইনে করবেন না অপলাইনে নাকি দুটোতেই কাজ করবেন আপনি আপনার মতো সকল কিছু গুছিয়ে করবেন।
ব্যক্তিগত
তথ্য, ছবি, এবং জীবনীঃ
আপনার
প্রোফাইল সেটআপ করবেন যেমন
নাম, ছবি, শিক্ষাগত যোগ্যতা,
ভাষা ইত্যাদী, ইত্যাদী। এরপর আপনি আপনার
সম্পর্কে লিখবেন, এরপর আপনি কি
বিষয়ে পারদর্শী সেই বিষয়ে প্রফেশনাল
ভাবে গিগ খোলতে শুরু
করবেন ২০২৫ সালে তথ্য
অনুযায়ী আপনি ৪ টার
বেশী গিগ খুলতে পারবেনা।
অবশ্যই নাম্বার ভেরিফিকেশন করে নিবেন।
ফাইবারে গিগ খোলার সময়
অপনি লক্ষ্য রাখবেন কোন কিছুও AI দিয়ে
করা যাবে না। মার্কেটপ্লেসটা ভালো ভাবে রিসার্চ
করবেন কিভাবে গিগ টাইটেল দিলে
প্রথম পেজে আপনার গিগটি
রাংক করবে ভালো ভাবে
ডিস্কিরিপসন দিবেন আর অবশ্যই গিগটিতে
ক্লায়েন্টের সুবিধারতে সকল কিছু সহজ
করে রাখার চেষ্টা করবেন। ভালো একটি থামনেল
বানাবেন একটি সুন্দর ভিডিও
বানাবেন যেন ক্লায়েন্ট আক্রিষ্ট
হয়, এবং লক্ষ্য রাখবেন
প্রাইচের দিকটিকে। মনে রাখবেন ফাইবারে
কাজ করলে আপনার পেমেন্ট
ক্লিয়ারেন্স হইতে ১৪ দিন
সময় লাগে। ক্লায়েন্ট ম্যাসেজ করলে তাকে খুশি
করার জন্য তার সকল
রিয়োক্য়ারমেন্ট বুঝে কাজ করবেন,
রিপিট ক্লায়েন্ট আনার বেশী চেষ্টা
করবেন তাহলে আরো বেশী বেশী
কাজ পাবার সম্ভাবনা থাকবে। ফাইবারে লেভেল ওয়ান পূরন করার
জন্য আপনাকে ৪০০$ পূরন করতে
হবে লেভেল টুর জন্য ১০০০$
এবং লেভেল তৃত্বীয়র জন্য ১০০০০$ পূরন
করতে হবে এইভাবে আস্তে
আস্তে এগায়তে হবে।
ফাইবারে কোন কাজের চাহিদা বেশি/ Fiverr এ কি কি কাজ পাওয়া যায়
সময় যতো এগিয়ে
যাচ্ছে বিভিন্ন পেশার উপর বিভিন্ন ভাবে কাজের চাহিদা ফাইভার মার্কেটপ্লেসে বাড়ছে এরই
প্রেক্ষিতে তুলনামূলক কিছু তুলে ধরলাম:
ভিডিও সম্পাদনার
যে বিষয়টা: এখনকার বেশীরভাগ
মানুষই লিখালেখি পরতে চায়না তারা কি চায় সহজ ও সুগঠিত জিনিস যা ভিডিও এডিংয়ের যেমন
ads, showreel, weeding, vfx ইত্যাদী।
ওয়েব ডেভেলপমেন্টের
যে বিষয়টি : ওয়েবসাইট
ডিজাইন কোডিং করে বিভিন্ন ব্যাবসা দ্বার করাতে ব্যবহার হয়।
ই-কমার্স
ব্যবসা সম্পর্কিত যে বিষয়টি:
ই-কমার্স মানেি আমরা বুঝি যে কঠিন ব্যবসাকে সহজ ভাবে সকলের মাঝে বিস্তার করার যে ব্যাপারটা।
ডিজিটাল
মার্কেটিং সেবার যে বিষয়টা : আপনার সেবার জন্য অনলাইন গুণমান নিরীক্ষণ, ইমেল
মার্কেটিং, কন্টেন্ট মার্কেটিং, ভিডিও মার্কেটিং ইত্যাদি ডিজিটাল মার্কেটিং সেবার মধ্যে
পরে যা দিন দিন কমার বদলে বাড়ছে নিয়মিত।
স্মার্টফোন
অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের যে বিষয়টা:
একটি অ্যান্ডোয়েট বা ISO অ্যাপ্লিকেশনের তৈরি, ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট এবং সেটিকে ব্যাবহারের
ফলে মানুষের য়ে উপকার হচ্ছে সকল বিষয়টি খেয়াল রাখে।
গ্রাফিক্স
ডিজাইন সেবার যে বিষয়টা:
এটি এমন একটি সেবা যার মাধ্যমে নৈপুন্য দক্ষতা ফুটিয়ে তুলে কিছু এখানে।
এই সেবা গুলির
চাহিদা বেড়ে চলছে কারণ ব্যবসায়ীরা আরও বেশি সুযোগ সুবিধা সকল দিক দিয়ে সেবা পাচ্ছে
সেটা কনজিওমার বা প্রোডিউসার দুজনেই।
ফাইভারে কাজ পাওয়ার উপায়
সময়ের সঙ্গে
যত কাজ করছি আমরা ততো দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছি এই কাজগুলো আমরা করছি অনেক কিছু ডিজিটালাইজ
সেক্টরের মাধ্যমে যেমন : Video Editing, Graphic Design, Software Development,
Digital Marketing, E-commerce ইত্যাদী, এ সকল বিষয়নিয়ে কাজ করে ফাইবার।
ডিজিটাল ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের বায়ার এবং সেলার কমিউনিটিকেশনের জন্য সবচেয়ে বড় অনলাইন মার্কেটপ্লেস। অতি সহজেই কোন কিছু পাওয়া সম্ভবনা কিন্তু যদি আপনি দক্ষ ও কৌশল জানেন খুব সহজেই অনেক কিছু করতে পারবেন ফাইবারে যেমন:
ফাইবারে একটি ভালো প্রোফাইল তৈরি করবেন, আপনাকে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করুন।
ডেসক্রিপশন
দিন
Fiverr তাদের
ওয়েবসাইটে প্রতিদিন এক মিলিয়নেরও বেশি গিগ তৈরি করে তার মধ্যে বায়ার আপনাকে কিভাবে
খুঁজে বের করবে সেই দিকটি ভেবে আপনি গিগ টাইটেল এমন ভাবে সাজান যার কম্পিটিশন অনেক
কম কিন্তু বায়ার সার্চ করবে এমন, কিওয়ার্ড রিসার্চ করুন গিগটিকে সামনে পেজে/ প্রথম
পেজে নিয়ে আসুন।
এমন ভাবে ডেসক্রিপশন
দিন যাতে
আপনার প্রোফাইলকে
আকর্ষণীয় এবং পেশাদার দেখাতে কাজ করুন, ছবি, ভিডিও ব্যবহার করে শুরু করুন আপনার গিগ
এমন ভাবে বানাবেন যেনো বায়ার আপনার প্রফাইলে ঢুকলে সহজে বুঝতে পারে আপনার সেবা সম্পর্কে।
সিমিলার গিগ নিয়ে কাজ করুন
সবচেয়ে ভালো
হয় একটি নিশ টার্গেট করে কয়েকটি গিগ এর তৈররি করুন সকল গিগ প্রথম পেজে রাখার চেষ্টা
করুম দেখবেন খুব সহজেই কাজ পেয়ে যাবে ১০০$ কেন ১০০০$-৫০০০$ মাসে অনাআশে আয় করা সম্ভব
ফাইবার থেকে। আপনি প্রতিদিন ৫ ঘন্টা সময় দিন ২৪ ঘন্টা ফাইবার প্রোফাইলটা অ্যক্টিভ রাখার
চেষ্টা করুন, কিভাবে ২৪ ঘন্টা অ্যাক্টিভ থাকবেন তা বুঝতে না পারলে ইউটিউবে দেখুন
FlowzByte এভাবে আস্তে শুরু করুন দেখবেন সময় মতো কাজ পেতে শুরু করবেন। হ্যাঁ আমি অবশ্যই
মানি ফ্রিল্যান্সিং এতো সহজেই সাফল্য আসবে না কিন্তু চপনি যদি লেগে থাকতে পারেন অবশ্যই
সাফল্য পাবেন।
মোবাইল দিয়ে ফাইবারে কাজ
আমি
যেভাবে উপরের সকল বিষয়ে আলোচনা
করেছি আপনি যদি সঠিক
ভাবে সকল কিছু নিয়ম
মাফিক মেনে কাজ করতে
পারেন আপনি মোবাইল দিয়েও
অনেক সুন্দর ভাবে ফ্রিল্যান্সিং করতে
পারবেন যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং
Keyword Research, ভিডিও
এডিটিং Capcut, Filmora ইত্যাদী অ্যাপস
ব্যবহার করে, Visul Studio ব্যবহার করে পাইথন করতে পারবেন।
মিকা কাফম্যান ও শাই উইনারারের হাত ধরে ২০১০ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম প্রতিষ্টিত হয় ফাইবার।ফাইবার মুলত একটি ইসরাইলি সংস্থা, ফাইবার হলো একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস, এটি একটি অনলাইন সেবা প্রতিষ্টান যার মাধ্যমে ডিজিটাল পরিষেবা বায়ার এবং সেলারের মধ্যমুনি
- ফাইবার এর কাজ কি?
ফাইবার
হলো এমন একটি প্লাটফর্ম
যেখানে আপনি দক্ষ হলে
অতি সহজেই হয়ে উঠতে পারেন
- ফাইবার একাউন্ট খোলার নিয়ম?
ধন্যবাদ সাথেই থাকুন FlowzByte এর ।
লেখক: শিক্ষার্থী, ইকোনমিক্স, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী, বাংলাদেশ।