ভিভো প্রাইস ইন বাংলাদেশ

ভিভো কী?

বিবিকে ইলেক্ট্রনিকসের সাব-ব্রান্ড হিসেবে  ২০০৯ সালে ভিভো ব্যান্ডটিকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। চীনের বহুজাতিক প্রযুক্তি হচ্ছে ভিভো মোবাইল, ভিভো এই ব্রান্ডটি স্মার্টফোন উৎপাদন, উন্নয়ন, ও সফটওয়্যার  যন্ত্রপাতি এবং অনলাইন পরিষেবা প্রদান করে। ২০০৯ সালের পরে সংস্থাটি ভিভো অ্যাপপ স্টোর, আইম্যানেজার সহ ফানটাচ ওএস নামক একটি অ্যান্ড্রয়ড অপারেটিং সিস্টেমের উদ্ভাবন করে।

গ্রাফিক্স: রবিউল হোসেন সেজান

ভিভোর এক্স১ মডেলের স্মার্টফোন বাজারে আসে ২০১২ সালে, এটি ছিল সেই সময়ের সবথেকে পাতলা ফোন যার গঠন ও স্ট্রাকচারাল দিক থেকে ছিল বেষ্ট।

আমেরিকান অর্ধ-কোটির সংস্থা সাইরাস লজিক দ্বারা উন্নতি করা হয়েছিল ভিভো এক্স১ ফোনটি। ২০১৩ চাইনীজ এই কোম্পানি ২কে-রজোলেশনের স্ক্রিনওয়ালা ফোন বাজারে আনতে সক্ষম হয়।

পৃথিবীর ১০ম বৃহৎ মোবাইল উৎপাদকে পরিণত হয় এবং বাজার তাদের শেয়ার ২.৭ শতাংশে  দাঁড়ায়, বলায় যায় যে সেই সময়ের মার্কেটিংয়ের দিক ও ফোনগুলে বাজারে বেচার দিক থেকে সেরা। (২০১৫ সালের তথ্য অনুযায়ী।

৬০টিরও বেশি দেশে বাজার ধরতে পেরেছিল ভিভো বিশ্বব্যাপী ছিল ভালো বাজার সম্প্রসারণ। (২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে)। এই ভিভো ফোনটি ৪০০ মিলয়নেরও বেশী গ্রাহকের হাতে ছিল ফোনটি।

ভিভো তার মার্কেটটা এতো তারাতাড়ি বিস্তৃত করে যে ২০১৭ সালে, ভিভো তাইওয়ান , হংকং , ম্যাকাও , রাশিয়া , ব্রুনাই , কম্বোডিয়া , লাওস , শ্রীলঙ্কা , বাংলাদেশ, নেপাল, এবং  ভিয়েতনাম এই দেশগুলোর মার্কেটে প্রবেশ করে এবং প্রফিট মাক্সিমাইজেশন করতে শুরু করে। ভিভো ফোনগুলো পাকিস্তানের স্মার্টফোন  বাজারে প্রবেশ করে ২০১৭ সালে এবং ব্যাপক মার্কেট বিস্তার লাভ করে এবং দ্রুতই জনপ্রিয়তা অর্জন করে। ভিভো তখনো ইউরপে প্রবেশ করেনাই কিন্তি ২০২০ সালের অক্টোবরে, ভিভো ঘোষণা করে যে এটি ইউরোপেও তার পণ্য বিক্রি শুরু করবে।

ভিভো এক্স৬০ সিরিজে প্রথম "ভিভো জেইস কো-ইঞ্জিনিয়ারড ইমেজিং সিস্টেম" প্রদর্শিত হয়েছিল ভিভো এবং জেইস মোবাইল ইমেজিং প্রযুক্তিতে যুগান্তকারী উদ্ভাবন প্রচার এবং বিকাশের ফলে (২০২০ সালে ১৭ই ডিসেম্বর)। ভিভো  এবং জেইস একটি দীর্ঘমেয়াদী কৌশলগত অংশীদারিত্ব ঘোষণা করে এর আগেই ২০১৭ সাল থেকেই অফিসিয়াল ভাবে পাকিস্হানে ভিভোর যাত্রা শুরু হয়েছিল। ভিভোর ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনের জন্য মোবাইল ইমেজিং প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য একটি যৌথ গবেষণা ও উন্নয়ন প্রোগ্রাম চালু করে ভিভো এবং জেইস।

ভিভো শীর্ষ ৫ স্মার্টফোন নির্মাতাদের মধ্যে স্থান পেয়েছিল ২০২৩ সালে, বিশ্বব্যাপী বাজারের ১০% শেয়ার অর্জন করে ভিভো যা সেই সময়ে কেউ এভাবে মার্কেট ধরতে পারেনাই।

হংকংয়ে ভিভো ফোনের বিমান পরিবহন নিষিদ্ধ করা হয় হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিভো ফোনের তিনটি প্যালেটে আগুন ধরে যায় ২০২১ সালের এপ্রিল মাসের তথ্য অনুযায়ী।

২৭০ ঘন্টা বা ১১ দিন ৬ ঘন্টা ধরে ৩০০,০০০ বারেরও বেশি ভাঁজ করা হয়েছিল ২০২২ সালের জুন মাসে "দীর্ঘতম ভিডিও" এর রেকর্ড অর্জন করে এবং  ভিভো বিশ্বখ্যাত গিনেস বুক অফ রেকর্ডসে প্রবেশ করে ।

vivo mobile price 10,000 to 15,000 বাংলাদেশ

Vivo Y03t

• ডিসপ্লে: 6.56" HD+ (1612 × 720) 90Hz, 528 nits
• প্রসেসর: Unisoc Tiger T612 (12nm)
• ক্যামেরা:
• পিছনের ডুয়াল ক্যামেরাঃ 13+0.08MP,
• সামনের ক্যামেরাঃ 5MP
• ব্যাটারিঃ IP54, 5000mAh, 15W ফাস্ট চার্জিং
• দামঃ 10,499৳

 

Vivo Y04

• ডিসপ্লে: 6.74" HD+ 90Hz IPS LCD ডিসপ্লে
• প্রসেসর: Unisoc T7225 (12 nm)
• ক্যামেরা:
• পিছনের ডুয়াল ক্যামেরাঃ 13+0.08MP,
• সামনের ক্যামেরাঃ 5MP
• ব্যাটারিঃ IP64, 5500mAh, 15W ফাস্ট চার্জিং
• দামঃ ১১,৯৯৯৳

 

Vivo Y19s

• ডিসপ্লে: ৬.৬৮" HD+ ৯০Hz ডিসপ্লে
• প্রসেসর: Unisoc Tiger T612 Octa Core (১২nm)
• ক্যামেরা:
• পিছনের ডুয়াল ক্যামেরাঃ 50MP + 0.8MP,
• সামনের ক্যামেরাঃ 5MP
• ব্যাটারিঃ IP64, 5500mAh, 15W ফাস্ট চার্জিং
• সাইড-মাউন্টেড ফিঙ্গারপ্রিন্ট
• দামঃ ১৪,৯৯৯৳

vivo mobile price 15,000 to 20000 in bangladesh

vivo T1 Pro 5G Android v12

গ্রাফিক্স: রবিউল হোসেন সেজান

• দাম : ১৫,০৮৪ টাকা
• Octa core (২.৪ গিগাহার্টজ, সিঙ্গেল কোর + ২.২ গিগাহার্টজ, ট্রাই কোর + ১.৯ গিগাহার্টজ, কোয়াড কোর), স্ন্যাপড্রাগন ৭৭৮জি, ৬ জিবি র‍্যাম
• ডিসপ্লে
• ৬.৪৪ ইঞ্চি (১৬.৩৬ সেমি), FHD+, অ্যামোলেড, ৯০ হার্জ রিফ্রেশ রেট
• ক্যামেরা:
• ৬৪ এমপি + ৮ এমপি + ২ এমপি ট্রিপল প্রাইমারি ক্যামেরা, এলইডি ফ্ল্যাশ, ১৬ এমপি ফ্রন্ট ক্যামেরা
• ব্যাটারি
• ৪৭০০ এমএএইচ, ফ্ল্যাশ চার্জিং

vivo Y58Android v14

গ্রাফিক্স: রবিউল হোসেন সেজান

• দাম : ১৫,২১৮ টাকা
• Octa core (২.২ গিগাহার্টজ, ডুয়াল কোর) + ১.৯৫ গিগাহার্জ, হেক্সা কোর)
• স্ন্যাপড্রাগন ৪ জেনারেশন ২
• ৮ জিবি র‍্যাম
• ডিসপ্লে:
• ৬.৭২ ইঞ্চি (১৭.০৭ সেমি), এফএইচডি+, এলসিডি, ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট
• ক্যামেরা:
• ৫০ এমপি + ২ এমপি ডুয়াল প্রাইমারি ক্যামেরা, এলইডি ফ্ল্যাশ, ৮ এমপি ফ্রন্ট ক্যামেরা
• ব্যাটারি:
• ৬০০০ এমএএইচ, ফ্ল্যাশ চার্জিং, ইউএসবি টাইপ-সি পোর্ট

 

vivo Y29 5G 6GB RAMAndroid v14

• Octa core (২.৪ গিগাহার্জ, ডুয়াল কোর + ২ গিগাহার্জ, হেক্সা কোর)
• মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৬৩০০
• ৬ জিবি র‍্যাম
• ডিসপ্লে:
• ৬.৬৮ ইঞ্চি (১৬.৯৭ সেমি), এইচডি+, এলসিডি, ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেটিং
• ক্যামেরা:
• ৫০ এমপি + ০.০৮ এমপি ডুয়াল প্রাইমারি ক্যামেরা
• ৮ এমপি ফ্রন্ট ক্যামেরা
• ব্যাটারি:
• ৫৫০০ mAh

vivo T1Android v12

• দাম : ১৫,৮৯০ টাকা
• Octa core (২.২ গিগাহার্টজ, ডুয়াল কোর + ১.৭ গিগাহার্টজ, হেক্সা কোর)
• স্ন্যাপড্রাগন ৬৯৫
• ৪ জিবি র‍্যাম
• ডিসপ্লে:
• ৬.৫৮ ইঞ্চি (১৬.৭১ সেমি)
• এফএইচডি+, আইপিএস এলসিডি
• ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেট
• ক্যামেরা:
• ৫০ এমপি + ২ এমপি + ২ এমপি ট্রিপল প্রাইমারি ক্যামেরা
• এলইডি ফ্ল্যাশ, ১৬ এমপি ফ্রন্ট ক্যামেরা
• ব্যাটারি”
• ৫০০০ এমএএইচ
• দ্রুত চার্জিং

vivo Y75Android v12, upgradable to v14

• দাম : ১৫,৯০০ টাকা
• Octa core (২.০৫ গিগাহার্টজ, ডুয়াল কোর + ২ গিগাহার্টজ, হেক্সা কোর)
• মিডিয়াটেক হেলিও জি ৯৬
• ৮ জিবি র‍্যাম
• ডিসপ্লে:
• ৬.৪৪ ইঞ্চি (১৬.৩৬ সেমি)
• এফএইচডি+, অ্যামোলেড
• ক্যামেরা:
• ৫০ এমপি + ৮ এমপি + ২ এমপি ট্রিপল প্রাইমারি ক্যামেরা
• ডুয়াল-কালার এলইডি ফ্ল্যাশ
• ৪৪ এমপি ফ্রন্ট ক্যামেরা
• ব্যাটারি:
• ৪০৫০ এমএএইচ
• ফ্ল্যাশ চার্জিং
• ইউএসবি টাইপ-সি পোর্ট

vivo T2x 8GB RAMAndroid v13

• দাম : ১৫,৯৯৯ টাকা
• Octa core (২.২ গিগাহার্টজ, ডুয়াল কোর + ২ গিগাহার্টজ, হেক্সা কোর + কোয়াড কোর)
• মিডিয়াটেক ডাইমেনসিটি ৬০২০
• ৮ জিবি র‍্যাম
• ডিসপ্লে:
• ৬.৫৮ ইঞ্চি (১৬.৭১ সেমি)
• এফএইচডি+, এলসিডি
• ৬০ হার্জ রিফ্রেশ রেট
• ক্যামেরা:
• ৫০ এমপি + ২ এমপি ডুয়াল প্রাইমারি ক্যামেরা
• এলইডি ফ্ল্যাশ
• ৮ এমপি ফ্রন্ট ক্যামেরা
• ব্যাটারি:
• ৫০০০ এমএএইচ
• দ্রুত চার্জিং

vivo Y100AAndroid v13

• দাম : ১৭,৯৯৯ টাকা
• Octa core (২.২ গিগাহার্টজ, ডুয়াল কোর + ১.৮ গিগাহার্টজ, হেক্সা কোর)
• স্ন্যাপড্রাগন ৬৯৫
• ৮ জিবি র‍্যাম
• ডিসপ্লে:
• ৬.৩৮ ইঞ্চি (১৬.২১ সেমি)
• FHD+, AMOLED
• ৯০ হার্জ রিফ্রেশ রেট
• ক্যামেরা:
• ৬৪ এমপি + ২ এমপি + ২ এমপি ট্রিপল প্রাইমারি ক্যামেরা
• LED ফ্ল্যাশ
• ১৬ এমপি ফ্রন্ট ক্যামেরা
• ব্যাটারি:
• ৪৫০০ এমএএইচ
• দ্রুত চার্জিং
• ইউএসবি টাইপ-সি পোর্ট

ভিভো ফোন কি ভালো?

চাইনিজ ভিভো ফোন হলো  ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি,  যা অল্প সময়ে এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ আমেরিকায় রাজ করেছ। বাজারে যার রয়েছে বছরের পর বছর শুনাম। ২০০৯ সালে প্রতিষ্টিত চায়নিজ এই স্মার্টফোন কোম্পানির সকল ফোন গুলোই বেশ আকর্ষণীয় এবং চমৎকার কার্জকরী, সব গুলোর রয়েছে বেষ্ট রিভিউ আপনি গুগল করলেই তা বুঝতে পারবেন। সল্প বাজেটের সেরা সেরা ফোন রয়েছে ভিভোর, যার রয়েছে গ্রিনেস বুক অফ রেকর্ড। তাই আমি মনে করি স্বল্প বাজেটের সেরা ফোনের মধ্যে একটা ।

ধন্যবাদ সাথেই থাকুন FlowzByte এর ।

 

লেখক: শিক্ষার্থী, ইকোনমিক্স, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী, বাংলাদেশ।